Recent Post

হৃদপিণ্ড, ধমনী, শিরা, জালিকা

হৃদপিণ্ড বা ( Heart): চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট

  • ১) ডান নিলয় (Right Ventricle),
  • ২) ডান অলিন্দ (Right Atrium),
  • ৩) বাম অলিন্দ ( Atrium),
  • ৪) বাম নিলয় ( Ventricle)

প্রতি মিনিটে ৭০-৮০ বার রক্ত পাম্প করে। করোনারী ধমনী হৃৎপেশীতে রক্ত সরবরাহ করে।

অলিন্দদ্বয় একসাথে এবং নিলয় দ্বয় এক সাথে সংকুচিত হয়। এর ফলে স্টেথোস্কোপ দিয়ে লাব-ডাব শব্দ পাওয়া যায়। হৃদপিণ্ডে চারটি কপাটিকা আছে যা রক্তের গতি এক দিকে রাখে এবং উল্টা দিকে যেতে বাধা দেয়।

রক্ত সঞ্চালন গতি পথ :

ডান অনিন্দ > ডান নিলয় > পালমোনারী ধমনী দিয়ে ফুসফুস > পালমোনারী শিরা দিয়ে বাম অলিন্দ > বাম নিলয় > মহা-ধমনী > ধমনী > জালিকা শিরা > মহা শিরা > ডান অলিন্দ ।

  • ১) দেহের কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত অশুদ্ধ রক্ত জালিকা থেকে শিরা ও মহা শিরা দিয়ে ডান অলিন্দে (Atrium) আসে।
  • ২) ডান অলিন্দ সংকুচিত হলে রক্ত ডান নিলয়ে ( Ventricle) প্রবেশ করে। ডান নিলয় সংকুচিত (Contraction) হলে রক্ত পালমোনারী ধমনী দিয়ে ফুসফুসে যায়।
  • ৩) ফুসফুস জালিকা ও অ্যালভিওলাই এর মধ্যে অক্সিজেন ও কার্বনডাই অক্সাইড আদান প্রদান হয় । ফলে অশুদ্ধ রক্ত , অকি্রাজেন সমৃদ্ধ হয়ে শুদ্ধ হয় এবং  পালমোনারী শিরা দিয়ে বাম অলিন্দে ( Atrium) প্রবেশ করে। বাম অলিন্দ সংকোচনের ফলে বাম নিলয় (L. Ventricle) এ প্রবেশ করে। বাম নিলয় সংকোচনের ফলে রক্ত পাম্প হয়ে  মহা-ধমনীতে (Aorta) যায়।
  • ৪) মহা-ধমনী থেকে বিভিন্ন ধমনী ও শাখা ধমনী দিয়ে শরীরের সমস্ত কোষে রক্ত পৌঁছে। কোষ থেকে নির্গত বর্জ্য কার্বনডাই অক্সাইড রক্তে প্রবেশ করে রক্তকে অশুদ্ধ করে । এ অশুদ্ধ রক্ত জালিকা ও শিরা হয়ে পুনরায় হৃদপিণ্ডে ফিরে আসে।

সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ

শিরা ও ধমনীর পার্থক্য :

শিরা (Vein)

ধমনী (Artery )

১) যে রক্ত নালী হৃদপিণ্ডে রক্ত ফিরে আসে, তাকে শিরা বলে।২) সাধারণত কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত বহন করে। ব্যতিক্রম: পালমোনারী শিরা।৩) শিরার প্রাচীর পাতলা (Thin)।

৪) ধীর গতিতে রক্ত প্রবাহিত হয় ।

৫) শরীরের বহিরাংশে থাকে।

৬) কেটে গেলে চুয়ে চুয়ে রক্ত বের হয়।

৭) কালচে রং হয়।

৮) এ ধরনের  পরিবর্তন হয়না

৯) (Pulse) পাওয়া যায় না।

১) যে রক্ত নালী হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত নিয়ে বের হয়ে যায়, তাকে ধমনী বলে।২) সাধারণত অকি্রাজেন যুক্ত রক্ত বহন করে। ব্যতিক্রম পালমোনারী ধমনী।৩)  এর প্রাচীর (Wall) পুরু (Thick) ।

৪) দ্রুতবেগে রক্ত প্রবাহিত হয়।

৫) কেটে গেলে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হয়।

৬) সাধারণত শরীরের অভ্যন্তর ভাগে থাকে।

৭) রক্তের রং উজ্জ্বল লাল হয়।

৮) বৃদ্ধকালে দাড়ির ন্যায় (Cord like ) শক্ত হয়।

৯) পালস (Pulse) পাওয়া যায়।

 

 

 

 

About The Author

D.H.M.S (Dhaka), M.M (BMEB) Consultant Homoeopathic physician Researcher, books author and speaker Owner of HD Homeo Sadan  CEO of HD Health Lecturer: Ashulia Homeopathic Medical College

Related posts