All-c | সর্দির সাথে নির্জীবতা, নিদ্রালুতা ও একাগ্র মনোযোগে অসুবিধা, বারবার হাঁচি ও ক্ষতকর সর্দিস্রাব, স্রাব লেগে উপরের ঠোঁট ও নাকে প্রদাহ হয়, তার সহিত চোখ দিয়ে পানি ঝড়ে কিন্তু, চোখের পানি ঝাঁঝাল নয়। |
All-c | ব্রঙ্কাই (বায়ুনালী) পর্যন্ত সর্দি বিস্তৃত হয়ে প্রচুর পরিমাণে কফ নিঃসৃত হয়, কাশি ও ঘড়ঘড়ানি থাকে, শুষ্ক কাশির ফলে কণ্ঠনালী ছিড়ে যাবে এরূপ অনুভূতি। |
All-c | স্নায়ুর নানা স্থানে সূতার মতো লম্বা ও সরু ব্যথা। |
All-c | পেটে বায়ু জন্মে। |
শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর প্রদাহ সহ তরুণ সর্দি, প্রচুর সর্দি । সর্দির কারণে ঘিনঘিনে অথচ প্রবল নয় এইরূপ শিরঃপীড়া, সেই সাথে তরল সর্দি যা সন্ধ্যায় বাড়ে, খোলা হাওয়ায় উপশম ও গরম ঘরে ফিরে আসলে বাড়ে (তুলনীয় = ইউফ্রে, পালস্)।
শিরঃপীড়া ঋতুস্রাবে কমে যায়; স্রাব বন্ধ হলে ফিরে আসে (ল্যাকে, জিঙ্ক)।
চোখ – জ্বালা করে, চোখের ভিতর কামড়ায়, ধোঁয়া লাগার মত যন্ত্রণা হয়—চোখ ঘষতে বাধ্য হয়, চোখ জলে ভরে যায়, ভেজাভাব, চোখের কৈশিকাগুলো (capillary) যেন বেরিয়ে আসে, প্রচুর অশ্রুস্রাব হয়।
সর্দি – প্রচুর ও জলের মত পাতলা; নাস্রাস্রাবে হেজে যায় (কিন্তু) অশ্রুস্রাবে হেজে যায় না যদিও পরিমাণে প্রচুর (প্রচুর, হেজে যায় অশ্রুস্রাবে অথচ নাসাস্রাব হাজায় না = (ইউফ্রে)।
ক্ষতকারী, জলের মত সর্দি নাকের ডগা দিয়ে ফোটা ফোটা ঝরতে থাকে (আর্স; আর্স-আইওড)। বসন্তকালের সর্দি, উত্তর-পূর্বদিকের ভেজা বাতাস লেগে সর্দিস্রাবে জ্বালা হয় ও নাক এবং ওপরের ঠোট হেজে যায় ।
হে-ফিভার (শষ্য এবং ফুলের রেণু যখন বাতাসে ওড়ে সেইসময় এলার্জিক) প্রত্যেক বসন্তকালে; বিছানা হতে উঠলে ভীষণ হাঁচি; পীচ ফল নাড়াচাড়ায় হাঁচি ।
নাকে পলিপাস (বহু তন্তু বিশিষ্ট টিউমার) (টিউক্রি-ম্যারাম; স্যাঙ্গুইনে; স্যাঙ্গুইনে-নাই; সোরিন)।
সর্দিজনিত স্বরযন্ত্রের প্রদাহ; কাশির ধমকে কণ্ঠনালী চেপে ধরতে বাধ্য হয়, মনে হয় যেন কাশিতে কণ্ঠনালী ছিড়ে যাবে ।
শূলবেদনা — পা ভিজে ঠান্ডা লেগে; অতিভোজনে; শশা অথবা স্যালাড প্রভৃতি খেয়ে; অর্শজনিত এবং শিশুদের বসলে বাড়ে চলাফেরায় কমে ।
স্নায়ুশূল – মুখে, মাথায়, গলায়, বুকের উপর—একগাছা লম্বা সুতোয় যতটা জায়গা লাগে ঠিক ততটা জায়গায় ।
আঘাতজনিত ক্রনিক স্নায়ুপ্রদাহ; অঙ্গছেদনের পর কাটা অংশের মূলভাগে স্নায়ুশূল, এতে জ্বালা ও হুলফোটানো ব্যথা ।
আঙুলহাড়া, এতে হাতে লাল ডোরাকাটা দাগযন্ত্রণায় অস্থির হতে হয়; প্রসুতাবস্থায় আঙুলহাড়া ।
ঘষা লেগে— পায়ে বিশেষতঃ গোড়ালিতে ঘা হয়, হেজে যায় ।“পায়ে ঘষা লেগে ঘা হলে উপযোগী”—গ্রীসদেশের ডাঃ ডাইস্কোরাইড ।
ফরসেপ সাহায্যে প্রসবের পর ফ্লেবাইটিস (ফ্লেবাইটিস = দীর্ঘদিন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে একইভাবে চাপ পড়ে অপরিশোধ্য রক্তবাহী শিরা-উপশিরার প্রদাহ ফোলে, শক্ত হয়)।
সম্বন্ধ – সাহায্যকারী ঔষধ- ফস্, পালস, থুজা ।
পলিপাস রোগে ক্যাল্কে-কা ও সাইলিশিয়ার আগে ভাল কাজ দেয় । ইউফ্রেসিয়ার সমগুণ অথচ সর্দি ও অশ্রুস্রাব লক্ষণে বিপরীত । জলে ভেজার কুফলে প্রযোজ্য (রাস-ট)।
বৃদ্ধি — বিশেষ করে সন্ধ্যাবেলায় ও গরম ঘরে (পালস্, খোলা হাওয়ায় বাড়ে = ইউফ্রে)।
উপশম – ঠান্ডা ঘরে ও খোলা হাওয়ায় (পালস্)।
শক্তি — ৬, ৩০।
একটি সর্দিজ অবস্থার ছবি তৎসহ হাজাকর নাসিকা স্রাব ও স্বরনলীর লক্ষন, চোখ থেকে যে জল পড়ে তা হাজাকর নয়, গায়কের সর্দি, গরম ঘরে বৃদ্ধি এবং সন্ধ্যার দিকে, মুক্ত বাতাসে উপশম, এইগুলি ঔষধটির চিত্র। বিশেষভাবে কাজ করে, ঠাণ্ডা, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় সর্দি। স্নায়বিক শূলবেদনা, সরু সূতার ন্যায় বেদনা, অঙ্গচ্ছেদ অথবা স্নায়ু আঘাতের পর। আঘাতজনিত, পুরাতন স্নায়ুশূল। নাক, মুখগহ্বর, গলা, প্রস্রাব থলি ও চামড়াতে জ্বালা। শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রখর তাপ প্রবাহের ন্যায় অনুভূতি ।
মাথা – সর্দিজ মাথার যন্ত্রণা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে কপালে বেদনা, গরম ঘরে বৃদ্ধি, সন্ধ্যার দিকে। মুখমণ্ডলে বেদনা। ঋতুস্রাবের সময় মাথার যন্ত্রণা থেমে যায়, স্রাব বন্ধ হবার পর পুনরায় ফিরে আসে ।
চোখ – লাল। তীব্র জ্বালা ও যন্ত্রনা সহ জল পড়ে। আলো সহ্য হয় না। চোখ বুজে যায় এবং জলে পূর্ণ, প্রচুর, অনুত্তেজক, অশ্রুস্রাব, মুক্ত বাতাসে উপশম। চোখের পাতায় জ্বালা ।
কান – কানের যন্ত্রণা, যন্ত্রণা তীরবেগে কর্ণনালীর ভিতর দিয়ে যায়।
নাক — হাঁচি, বিশেষতঃ গরম ঘরে প্রবেশ করলে। প্রচুর, জলের মত ও তীব্র হাজারক স্রাব। নাকের মূল দেশে একটি পিণ্ডের ন্যায় অনুভূতি। হে- ফিভার (স্যাব্যাড, সাইলে, সোরি)। বহমান সর্দি তৎসহ মাথার যন্ত্রণা, কাশি ও স্বরভঙ্গ। নাকের অর্বুদ বা পলিশ।
পাকস্থলী – প্রচণ্ড ক্ষুধা। পাইলোরিক স্থানে বেদনা। পিঁপাসা, ঢেকুর। বমি বমি ভাব ।
উদর – পেটের ভিতর গুড়গুড়, দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু নিঃসরণ। লেফট হাইপো গ্যাসট্টিয়াম স্থানে বেদনা। বসে থাকলে ও চলাফেরা করার সময় পেটে মূল বেদনা ।
সরলান্ত্র — উদরাময় তৎসহ তীব্র দূর্গন্ধযুক্ত বায়ু নিঃসরণ। মলদ্বারে সূঁচ ফোটানোর ন্যায় অনুভূতি। মলদ্বারে চুলকানি। সরলান্ত্রে কিছু জ্বলার ন্যায় উত্তাপ।
প্রস্রাব – মূত্রথলির ও মূত্রনলীর দুর্বলতা। প্রচুর প্রস্রাব তৎসহ সর্দি। প্রস্রাব লাল, তৎসহ মূত্রনলীতে চাপবোধ ও জ্বালা ।
শ্বাস-প্রশ্বাস – স্বর ভঙ্গ । ঠাণ্ডা বাতাসে শ্বাস নেবার সময় খুকখুককাশি । কণ্ঠনলীতে সুড় সুড় ভাব । মনে হয় কণ্ঠনলী যেন ছিঁড়ে গিয়েছে বা ফেটে গিয়েছে । বুকের মাঝখানে চাপ বোধ হওয়ার ফলে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে । আলাজিব স্থানে সংকীর্ণতা অনুভব হওয়া । যন্ত্রনা কান পর্যন্ত প্রসারিত হয় ।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ – সন্ধিগুলি খোঁড়া। পায়ের গোড়ালিতে ক্ষত। হাতের আঙ্গুলে, নখের চারিপাশে যন্ত্রণাদায়ক লক্ষণ । পায়ের স্নায়ুশূল। পা ভিজানোর কুফল। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষত বাহুতে ক্ষতের ন্যায় বেদনা ও পরিশ্রান্ত মনে হয়।
ঘুম – হাইতোলা তৎসহ ঝিমুনি ও মাথার যন্ত্রণা। স্বপ্ন দেখে। গভীর ঘুমে মুখ হাঁ করে থাকে। রাত্রি ২টার সময় জেগে উঠে।
কমা-বাড়া বৃদ্ধি – সন্ধ্যায়, গরম ঘরে।
উপশম : মুক্ত বাতাসে, ঠাণ্ডা ঘরে।
সম্বন্ধ – তুলনীয় : জেলস, ইউফ্রে, কেলিহাইড্রো, একোনাইট, ঈপিকাক।
অনুপূরকঃ ফসফর, থুজা, পালস।
দোষগ্ন – আর্নিকা, ক্যামো, ভিয়েট।
শক্তি – ৩য় শক্তি ।
এলিয়াম সেপা প্রধানতঃ “সর্দ্দির” জন্য ব্যবহৃত হয়। এই সর্দি নাকে, গলায়, কণ্ঠনলীতে এবং বায়ুনলীতে নানা মূর্তিতে প্রকাশ পায়। রোগী নিজে এবং তাহার সর্দির নানা মূর্তি নাসিকার সর্দি, কাশি, বায়ুনলী-প্রদাহ, অন্যান্য সকল উপসর্গ গরমে বাড়ে, গরম ঘরে বাড়ে, কেবল তাহার স্বরযন্ত্রের সুড়সুড়ি বাড়ে না, কিন্তু উহাও ঠান্ডা হাওয়ায় নিঃশ্বাস লইলে বাড়ে। এই ভাবে কাশি সময়ে সময়ে ঠান্ডা হাওয়ায় উদ্ৰিক্ত হয়, কিন্তু রোগী নিজে ঠান্ডা হাওয়ায় ভাল থাকে এবং উত্তাপে অত্যনুভূতি সম্পন্ন হয়। অধিকাংশ লক্ষণ,—নাসিকার “সর্দি” এবং সাধারণ লক্ষণসমূহ সন্ধ্যার দিকে বাড়ে। এই দুইটিই এলিয়াম সেপার সর্বাপেক্ষা বিশিষ্ট সাধারণ লক্ষণ।
বৃদ্ধা মহিলারা যে কান কটকটানির জন্য কানে এবং গলক্ষতের জন্য গলায় পিঁয়াজ বাঁধিয়া দিতেন, তাহাতে আশ্চর্য্য হইবার কিছুই নাই, কারণ ঠান্ডার কুফলে প্রায় সবদেশেই পিঁয়াজ খুব সচরাচর প্রযোজ্য হয়। যে-কোন দেশে ঠান্ডা, ভিজা, কনকনে হাওয়ায় এলিয়াম সেপার রোগগুলি উৎপন্ন হয়; ঐগুলি, যথা—সর্দি, লা-গ্রাইপ, ইনফ্লুয়েঞ্জা অথবা যে কোন নামের রোগ এবং সাধারণতঃ ঐসঙ্গে রক্তসঞ্চয়জনিত শিরঃপীড়া থাকে । নাকের ক্ষততা;—চক্ষু হইতে প্রচুর জলস্রাব, উহা সৰ্ব্বদাই অবিদাহী; নাসিকা হইতে প্রচুর জলবৎ স্রাব, উহা সৰ্ব্বদাই ক্ষতকর। কণ্ঠনলী ও গলায় ক্ষততা বোধ, উহা বুকের ভিতর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। নাকের মধ্যে ক্ষততা বোধ। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই উহা কণ্ঠনলীতে পৌঁছিয়া যায়। কণ্ঠনলীর সুড়সুড়ি হইতে কাশি এবং রাত্রে গরম ঘরে শুইলে উহা উদ্ৰিক্ত হয়। সন্ধ্যাকালে, শয়ন করিবার পর, এলিয়ামের কষ্টকর বৃদ্ধি-লক্ষণ দেখা দেয়। আমি রোগীকে কাশিবার সময় কণ্ঠনলীর যন্ত্রণা সম্বন্ধে এই বলিয়া বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি যে প্রত্যেক কাশিতে তাহার মনে হয় যেন, একটা খোঁচা লইয়া কেহ নীচের দিকে বিঁধিয়া দিতেছে। প্রত্যেকবার কাশিতে কণ্ঠনলীতে ছিঁড়িয়া ফেলার ন্যায় ব্যথা। হাঁচি, সমস্ত শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর ক্ষততা এবং ঐ ছিন্নকর কাশি;—সব লক্ষণই গরম ঘরে ও সন্ধ্যার দিকে বাড়ে; পিঁয়াজ যে এই “সর্দি” কত শীঘ্র দূর করে তাহা দেখিলে বিস্মিত হইতে হয়।
এক্ষণে আমরা সর্দির বিশেষ লক্ষণগুলি আলোচনা করিব। প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে, হাঁচি হইতে থাকিবে, এবং উহা ক্রমেই আরও শীঘ্র শীঘ্র দেখা দিতে থাকিবে। নাক হইতে জলবৎ স্রাব গড়াইতে থাকিবে, উহাতে আগুনের ন্যায় জ্বালা থাকিবে এবং উহাতে উপর ওষ্ঠ এবং নাকের পাখা দুইটি হাজিয়া যাইবে, অবশেষে ক্ষত ও আরক্ততা দেখা দিবে। লক্ষ্য করিও যে, নাক হইতে যে জলবৎ স্রাব হয়, তাহাই ক্ষতকর; কিন্তু চক্ষুর স্রাব অবিদাহী। মনে রাখিও যে, আমরা যখন ‘ইউফ্রেশিয়ার বিষয় আলোচনা করিব, তখন ইহার ঠিক বিপরীত লক্ষণ দেখিতে পাইব। আমরা ঠিক এইরূপ নাসিকা হইতে জলবৎ স্রাব এবং প্রচুর অশ্রুস্রাব দেখিতে পাইব, কিন্তু এ ক্ষেত্রে অশ্রুস্রাবটিই ক্ষতকর এবং নাসিকার স্রাবটি অবিদাহী। সেপার নাসিকা স্রাবে উপর ওষ্ঠের উপরের লোমগুলি স্পষ্ট ক্ষয়িয়া যায়; এবং উহাতে এত রক্তসঞ্চয় : থাকে, যে, রোগীর নাকে দপদপানি ও জ্বালার সহিত পূর্ণতাবোধ দেখা দেয় এবং সময়ে সময়ে রক্তপাত হয়। চোয়ালের মধ্য দিয়া মুখমন্ডলে যন্ত্রণা এবং এই বেদনা মাথা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
অপ্রবল সম্মুখ-কপালে শিরোবেদনা, মাথার পশ্চাদ্দিকের শিরঃপীড়া অত্যন্ত প্রবল এবং চক্ষুতে আলোক সহ্য হয় না; মাথার মধ্যে ছিঁড়িয়া ফেলার মত, ফাটিয়া যাইবার মত, দপদপকর বেদনা ।
অতঃপর, এই ঔষধের আরও একটি রূপ আছে । কেন যে ইহা বাম পার্শ্বে আরম্ভ হইয়া দক্ষিণ পার্শ্বে যায়, তাহা আমি জানি না, কিন্তু সাধারণতঃ এইরূপ ঘটে । এক পার্শ্বের নাক বুজিয়া যায়, নাসিকার বামদিক হইতে জলবৎ ক্ষতকর স্রাব হইতে থাকে তারপর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে দক্ষিণ পার্শ্বও আক্রান্ত হয় । “প্রভূত নাসিকাস্রাব, ভিজা, উত্তর-পূর্বের হাওয়া লাগিবার পর সর্দি।” ইহার অর্থ যে-কোন প্রকার ভিজা ঠান্ডা লাগাইবার পর,—কারণ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দিক হইতে এরূপ হাওয়া প্রবাহিত হয়। সাবযুক্ত সর্দি, তৎসহ শিরঃপীড়া, চক্ষু হইতে অশ্রুস্রাব, ক্ষুধালোপ এবং খোলা বাতাসে কাশি ও কম্পন ।“প্রতি বৎসর আগষ্ট মাসে প্রাতঃকালীন সর্দিস্রাব, তৎসহ প্রবল হাঁচি; রোগী পীচ ফলের খোসা ও ফুলের গন্ধে অত্যন্ত অনুভূতি সম্পন্ন।” এলিয়াম সেপা এই বিশেষ প্রকারের প্রতিশ্যায় রোগ আরোগ্য করে । লক্ষণ মিলিলে ইহা প্রতিশ্যায়- লক্ষণযুক্ত জ্বর কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ দূর করে । তুমি হয়ত জান যে, প্রতিশ্যায়লক্ষণ জ্বরের প্রকৃত স্বভাব সাধারণত বোঝা যায় না । প্রকৃতপক্ষে ইহা পুরাতন ব্যাধির নূতন প্রকাশ অর্থাৎ উহা সোরাদোষের প্রকাশ এবং কেবলমাত্র সোরাদোষ নাশক ঔষধ দ্বারাই উহা নির্মূল করা যাইতে পারে । বহু ক্ষেত্রে আমি দেখিয়াছি যে, এক বৎসর এই প্রতিশ্যায়-লক্ষণ জ্বর একটি স্বল্পক্রিয় ঔষধ দ্বারা দূর করা হইল, কিন্তু পর বৎসর উহা ঠিক একইভাবে প্রত্যাবৃত্ত হইবে এবং হয়ত অপর একটি ঔষধের প্রয়োজন হইবে । যেই প্রতিশ্যায়লক্ষণ জ্বর নিবারিত হইবে, অমনি তুমি তাহার ধাতুদোষ নাশক চিকিৎসা আরম্ভ করিবে। তুমি যদি খুঁজিয়া লইতে পার তাহা হইলে এমন অনেক লক্ষণ পাইবে, যাহারা তরুণ রোগ-লক্ষণ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক । যতক্ষণ প্রতিশ্যায়-লক্ষণ জ্বর থাকে ততক্ষণ ঐগুলি দেখা যায় না । প্রতিশ্যায়-লক্ষণ জ্বর যখন প্রবল থাকে তখন ধাতুদোষ সংশোধক ঔষধ নির্ণয় করা কঠিন, কারণ তখন উহা তরুণ রোগের অনুরূপ । কিন্তু উদ্ভেদ, কাশি প্রভৃতি যে-কোন সোরাদোষের বিকাশের ন্যায়, উহাও একটি সোরাদোষের বিকাশ । এক বৎসর, হয়ত, নাসিকা পুরাতন রোগের এমন একটি বিশেষ মূর্তি প্রকাশ করিল যে উহা,–উদাহরণ স্বরূপ,—এলিয়াম সেপার উপযোগী হইল । আমার মনে আছে যে, একবার আমাকে একটি দূরবর্তী স্থানে এলিয়াম সেপা ব্যবস্থা করিতে হইয়াছিল। ঐ স্থানের নিকটে একটি ঔষধালয় ছিল । আমি ঐ ঔষধালয়ের কর্তাকে আমার রোগীর জন্য এলিয়াম সেপা পাঠাইবার নির্দেশ পাঠাইলাম এবং তিনি উহা নামাঙ্কিত করিয়া পাঠাইয়া দিলেন । রোগী ঐ শিশিটি রাখিয়া দিয়াছিল এবং পর বৎসর উহা সেবন করিয়াছিল, কিন্তু উহাতে কোনই ফল হইল না । লক্ষণগুলি মিলিয়া গিয়াছে বোধ হইলেও এইরূপ ব্যাপার সম্ভব । সোরাদোষদুষ্ট অবস্থায় অল্পকালক্রিয় ঔষধ পর্যন্ত নয়, উহা মাত্র একদিনই কাৰ্য্যকরী হয় । যে দীর্ঘক্রিয় ঔষধে রোগীর, প্রতিশ্যায়-লক্ষণ জ্বরের এবং তাহার অপরাপর লক্ষণের মিল থাকে, তাহাই প্রয়োগ করিতে হয় । প্রতিশ্যায়-লক্ষণ জ্বর চিকিৎসার শ্রেষ্ঠ সময়–তরুণ আক্রমণ প্রশমিত হইবার পর হইতে পুনরাক্রমণের পূর্ব পর্যন্ত । এইরূপ করা হইলে, পরবর্তী আক্রমণটি যথেষ্ট পরিবর্তিত ভাবে, রোগীর পূর্বে যতবার আক্রমণ হইয়াছিল তাহা হইতে পৃথকভাবে উপস্থিত হইবে এবং পৃথক ঔষধ আবশ্যক হইবে । ধাতুদোষ সংশোধক ঔষধ ঠিকভাবে নির্বাচিত হইলে, এইরূপ ব্যাপারই ঘটিয়া থাকে ।
এইসকল সৰ্দিরোগে, প্রদাহ শীঘ্রই কর্ণে, গলায় এবং কণ্ঠনলীতে বিস্তৃত হয় । বৃদ্ধা মাতারা শিশুর কর্ণবেদনা হইলে শিশুর কানের উপর পিঁয়াজ রাখিয়া দিতেন । ইহাতে বিস্মিত হইবার কিছু নাই, কারণ এই ঔষধের অধিকারে সকল প্রকার যন্ত্রণা ও কামড়ানি ব্যথা দেখিতে পাই । গলা হইতে ইউষ্টেচিয়ান নলের দিকে, ঝাঁকিমারা বেদনা । ভয়ানক কর্ণবেদনা; কর্ণ হইতে পুঁজস্রাব পর্যন্ত হয় । কর্ণে ঘণ্টাধ্বনি । কপাল হইতে কর্ণের দিকে সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা । যন্ত্রণা, যেন মস্তকের গভীর প্রদেশ হইতে মোটা সুতা ধরিয়া টানিতেছে । হুপিং কাশির সহিত, সর্দির সহিত, স্বরযন্ত্র-প্রদাহের সহিত কর্ণে সূচীবিদ্ধবৎ, ছিঁড়িয়া ফেলার মত বেদনা । যে বাড়ীতে ঔষধের একটি বাক্স থাকে, সেখানে কর্ণ-বেদনার জন্য পালসেটিলা একটি ধরাবাধা ঔষধ এবং একথাও সত্য যে, ঐজন্য কদাচিৎ ডাক্তার ডাকার প্রয়োজন হয় । কর্ণের সহিত পালসেটিলার এরূপ সম্বন্ধ আছে যে, উহা প্রায় সব ক্ষেত্রেই যে সকল অত্যনুভূতিযুক্ত শিশু করুণভাবে কাঁদিতে থাকে তাহাদের কর্ণবেদনা আরোগ্য করে । কিন্তু যে-সকল শিশু বদরাগী, যাহারা কিছুতেই সন্তুষ্ট হয় না, যে জিনিষ চাহিয়াছে, তাহা দিলে যাহারা হুঁড়িয়া ফেলিয়া দেয় এবং ধাত্রীর মুখে চড় বসাইয়া দেয়, তাহাদিগকে ক্যামোমিলা’ দিতে হয় । পালসেটিলা, ক্যামোমিলা’ এবং ‘এলিয়াম সেপা দ্বারা তুমি শিশুদের কর্ণশূলের বেশীরভাগ রোগীই আরোগ্য করিতে পারিবে । তারপর, এলিয়াম সেপার সর্দির সঙ্গে যে-সকল চক্ষু-লক্ষণ থাকে তাহা বিবেচ্য । মনে রাখিও যে ইহার চক্ষুস্রাব অবিদাহী । যদিও চক্ষের মধ্যে জ্বালা থাকে, তথাপি চক্ষের জল, গালের উপর দিয়া পড়িবার সময় ঐ স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি করে না । প্রচুর, জ্বালাহীন অশ্রুস্রাব । সন্ধ্যাকালে, গরম ঘরে অশ্রুস্রাব ।
পেয়াজ যে কিরূপ উদরবায়ুজনক উদ্ভিজ্জ তাহা আমরা সকলেই জানি। শিশুদের উদরাসূলে। ইহা একটি আশ্চর্য্য ঔষধ। কাটিয়া ফেলার মত, ছিদ্র করার মত, ছিঁড়িয়া ফেলার মত বেদনায় হতভাগ্য শিশুটিকে টানিয়া দ্বিভাঁজ করিয়া ফেলে। তলপেটে কর্ত্তনবৎ যন্ত্রণায় সে চীৎকার করিয়া উঠে। “পেটে সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা।” “উদরবেদনা যকৃৎ-প্রদেশে আরম্ভ হইয়া সারা পেটে ছড়াইয়া – পড়ে এবং নাভির নিকটে আসিয়া অধিকতর কষ্টদায়ক হয়, উঠিয়া বসিলে অধিক কষ্টকর হয়।” উদরে বায়ুসঞ্চয়জনিত শূলব্যথা। এলিয়াম সেপা হুপিংকাশির একটি আশ্চর্য্য ঔষধ এবং যখন উহা প্রযোজ্য হয়, তখন শিশুর, সচরাচর, অজীর্ণ, বমন এবং উদরে বায়ুসঞ্চয় থাকে; শিশু দুর্গন্ধ বায়ুত্যাগ করে, উদরবেদনায় দ্বিভাঁজ হইয়া পড়ে। এলিয়াম সেপা শিশুদিগের গুহ্যদ্বারের স্পর্শকাতর ক্ষত ও তাহা হইতে রক্তপাতও আরোগ্য করে ।
তরুণ স্বরবিকৃতি, সর্দিজ স্বরভঙ্গ, কণ্ঠনলী হইতে প্রচুর সর্দিস্রাব। আমি পূর্বে যেরূপ কাশির কথা বলিয়াছি, তাহার সহিত আরও দ্রুত সমাগত কণ্ঠনালীর প্রবল প্রদাহ এবং তৎসহ কণ্ঠনালীতে ছিন্নকর বেদনা। কেহ কেহ ইহার বর্ণনাকালে বলিবেন যে, কিছু ছিঁড়িয়া আলগা হইয়া গিয়াছে—এরূপ অনুভূতি। যাহারা আরও সঠিকভাবে বর্ণনা করিবেন তাঁহারা বলিবেন যে, ইহা ? প্রত্যেক কাশির সহিত কণ্ঠনলীর মধ্য দিয়া যেন একটি কাঁটা টানিয়া লওয়া হইতেছে, এরূপ বোধ হওয়া। স্বরভঙ্গের সহিত কণ্ঠনলীতে সুড়সুড়ি। হুপিং কাশিতেও ঐ একই প্রকার কণ্ঠনলীর যন্ত্রণা থাকে। শিশু থর থর করে, কাঁপিতে থাকে এবং তুমি দেখিতে পাইবে যে, কণ্ঠনলীর ছিন্নকর বেদনার জন্য সে কাশিতে ভয় পায়। ঠান্ডা হাওয়ায় নিঃশ্বাস লওয়ায় কাশি এবং শ্বাসকষ্ট, তথাপি গরম হাওয়া গলার সুড়সুড়ি এত বাড়াইয়া দেয় যে, উহাতে রোগীর কাশি আরম্ভ হইবে। সুতরাং ঠান্ডা হাওয়া এবং গরম ঘর এই উভয়েই কাশি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। সময়ে সময়ে সর্দি। বায়ুনলী পৰ্য্যন্ত নামিয়া আসে এবং দ্রুত নাড়ীসহ জ্বর দেখা দেয়। যদি কণ্ঠনলীতে সুড়সুড়ি, ঠান্ডা বাতাসে নিঃশ্বাস লইলে কাশি গরম ঘরে ও সন্ধ্যায় বৃদ্ধি এবং কণ্ঠনালীতে ছিন্নকর বেদনা থাকে, তাহা হইলে এলিয়াম সেপা এরূপ অবস্থা আরোগ্য করিবে। কাশিটি আক্ষেপিক প্রকৃতির এরূপ অথবা হুপিং কাশি সদৃশ। সেপায় ক্রুপ কাশি আরোগ্যের নিদর্শন আছে। বৃদ্ধা স্ত্রীলোকেরা ক্রুপ কাশিযুক্ত শিশুর গলায় পিয়াজ বাঁধিয়া রাখেন এবং নিশ্চিতই, ডাক্তার বিহীন গভীর বনের মধ্যে। এই ব্যবস্থা প্রাচীন মতাবলম্বী (এলোপ্যাথিক) চিকিৎসা অপেক্ষা ভাল।
“পরিচায়ক লক্ষণ” নামক পুস্তক হইতে একটি সুন্দর বর্ণনা উদ্ধৃত করা হইল। স্বরভঙ্গযুক্ত, কর্কশ, ঘংঘং করা, আক্ষেপিক কাশি, অবিরাম গলার সুড়সুড়ি হইতে উহা উদ্ৰিক্ত হয় কাশিতে কণ্ঠনলীর মধ্যে ক্ষতবৎ ছিন্নকর বেদনা উৎপন্ন হয়, ঐ বেদনা এত তীব্র ও ভয়ানক যে, রোগী যন্ত্রণায় সঙ্কুচিত হইয়া পড়ে এবং কাশি চাপিয়া রাখিতে চেষ্টা করে।” “ভীষণ কণ্ঠনলীর কাশি, উহাতে রোগী কণ্ঠটি চাপিয়া ধরিতে বাধ্য হয়, মনে হয় যেন কাশির ধমকে উহা ছিঁড়িয়া যাইবে।” শিশু কণ্ঠনলী পর্যন্ত হাত তুলিয়া উহা চাপিয়া ধরে। এই অবস্থা একোনাইটে’ শিশু শুষ্ক ঠান্ডা হাওয়ায় উন্মুক্ত থাকার পর মধ্যরাত্রির পূৰ্ব্বে কর্কশ ঘংঘং করা কাশির সহিত জাগিয়া উঠে এবং কণ্ঠটি চাপিয়া ধরে। সুতরাং একোনাইট’ কখনই এলিয়াম সেপার স্থান গ্রহণ করিতে পারে না। আর একটি রোগের উপর এই ঔষধের অদ্ভুত কাৰ্য্য আছে ইহা আঘাতজনিত স্নায়ু-প্রদাহ; সচরাচর উহা অঙ্গচ্ছেদের পর, ছেদিত অঙ্গের অবশিষ্টাংশে দেখিতে পাওয়া যায়। বেদনা প্রায় অসহ্য হইয়া উঠে, উহাতে অতি দ্রুত রোগীর বলক্ষয় হইতে থাকে ।
[Allium or Alium, garlic. Cepa, Onion]
বাংলায়- পিঁয়াজ
ইহা লিলিয়েসী জাতীয় উদ্ভিদ । এতে ফসফরাস ও সালফার আছে। এই সরস সুপক্ক কন্দ থেকে মূল অরিষ্ট তৈরী হয়।
এলিয়াম সেপার –মূলকথা
১। সর্দি, পুনঃপুনঃ হাঁচি প্রভূত বিদাহী স্রাব (acrid), উহাতে উপর ওষ্ঠ ও নাসিকা হেজে যায়। ঐ সঙ্গে চোখ থেকে জল ঝরে কিন্তু তা অনুত্তেজক (ইউফ্রেসিয়ায় এর বিপরীত)।
২। সর্দি বায়ুনলী (bronchi) পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়, কাশি ও বুকে শ্লেষ্মার অত্যন্ত ঘড়ঘড় শব্দ (চেলিডোনিয়াম)।
৩। উপচয় -উপশম – অপরাহ্নে ও গরম ঘরে বৃদ্ধি । খোলা বায়ুতে (সর্দি) উপশম।
এলিয়াম সেপার – পর্যালোচনা
যেই রান্নার জন্য কাঁচা পিয়াজ কাটে সেই জানে নাক ও চোখের উপর এর কি রকম ক্রিয়া আছে। এতে উপদাই জন্মে ও তাতে প্রবল হাঁচি হয় ও চোখ দিয়ে জল পড়ে। এজন্যই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার আরোগ্য নীতি অনুসারে পিয়াজ নাকের সর্দির ঔষধ স্বরূপ ব্যবহৃত হয় এবং অন্যান্য ঔষধের ন্যায় ইহাও বিশেষ প্রকৃতিগত লক্ষণ যুক্ত সর্দিতেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। “এতে অবিরত পুনঃপুন হাঁচি হয়, তার সঙ্গে প্রভূত জ্বালাকর স্রাব থাকে। এতে নাক ও উপরের ওষ্ঠ হেজে যায়। সন্ধ্যেবেলা ও ঘরের মধ্যে কষ্ট বাড়ে এবং খোলা বাতাসে উপশম হয়।”
এতে প্রভূত অশ্রুস্রাব হয় এবং তাতে চোখ জ্বালা করে ও টাটায় কিন্তু ঐ স্রাব অবিদাহী বা অনুত্তেজক অর্থাৎ এতে পরে চোখে যন্ত্রণা হয় না। এর সঙ্গে মাথা বেদনা থাকতেও পারে বা না থাকতেও পারে। যদি থাকে তবে উহা নাকে সর্দির মত গরম ঘরে বা সন্ধার দিকে ঝড়ে এবং খোলা বাতালে উপশমিত হয়। আমি একে শিশুদের ক্ষেত্রেই বিশেষ উপযোগী হতে দেখেছি। শিশুদের নাকের প্রচুর সর্দিস্রাবে বা সর্দি নীচের দিকে প্রসারিত হয়ে বায়ুনলী আক্রমণ করলে এবং বায়ুনলীতে প্রভূত শ্লেষ্মা জন্মানোয় খুব কাশি ও শ্লেষ্মার শব্দে ইহা বিশেষ ভাবে উপযোগী।
তবে নাকের সর্দি ও অশ্রুস্রাব একসঙ্গে থাকলে এলিয়াম সেপা হোমিওপ্যাথিক ঔষধরূপে প্রচলিত হওয়ার পূর্বে ইউফ্রেসিয়া ৰূবহৃত হত।
এই দুটি ঔষধের প্রধান পার্থক্য হল – এলিয়াম সেপায় নাসিকার স্রাব বিদায়ী (acrid) বা উত্তেজক কিন্তু চক্ষুস্রাব অবিদাহী বা অনুত্তেজক (bland) কিন্তু ইউফ্রেসিয়ায় এর ঠিক বিপরীত।
তাই মনে হয় এদের একটি প্রধানতঃ নাকের উপর এবং অপরটি চোখের উপর ক্রিয়া করে । আর এই ভাবেই আমাদের ঔষধের পার্থক্য নির্ণয় করতে শিখতে হবে।