All-s | উৎকন্ঠা, রোগ আরোগ্য হবে না ও ঔষধ সহ্য হবে না বলে রোগীর দৃঢ় ধারনা। |
All-s | আহারের সামান্য অনিয়মেই পেটের অসুস্থতা। |
All-s | ভীষণ ক্ষুধা অনুভূতি, আহারের পর তন্দ্রালুতা, জ্বালাযুক্ত উদগার। |
All-s | ঘুমের মধ্যে ক্রন্দন করে, সকালে বিছানায় শায়িত অবস্থায় মাথার পিছনদিকে মৃদু ব্যথা। |
All-s | জিহ্বায় চুল লেগে থাকার অনুভূতি। |
এই ঔষধটি সরাসরি অন্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর উপর কাজ করে এবং অন্ত্রের ভিতর ঢেউয়ের মত যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, তা বাড়িয়ে থাকে। বৃহদন্ত্রের প্রদাহ বা কোলাইটিস। এই ঔষধটিতে রক্তবহানলীর প্রসারণ করার মত গুনাবলী আছে। এই ঔষধের অরিষ্ট ২০ থেকে ৪০ ফোঁটা মাত্রায় খেলে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে রক্তচাপ কমে যায় বা আর্টারিয়াল হাইপোটেনসন দেখা দেয়।
মোটা লোকদের যাদের শ্লেষ্মা সংক্রান্ত রোগ ও অজীর্ন রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। যকৃত উঁচু হয়ে থাকে। যে সকল রোগীরা জলপানের থেকে অধিক মাত্রায় খাবার খায়। বিশেষতঃ মাংস তাদের ক্ষেত্রে উপযোগী। হিপজয়েন্ট, সোয়াশ ও ঈপিয়্যাক স্থানের পেশীর যন্ত্রণা। বুকের যক্ষ্মা রোগ।
এই ঔষধ প্রয়োগে রোগীর কাশি কমে, কাশির সঙ্গে শ্লেষ্মা উঠার পরিমান কমে, শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আসে, শারীরিক ওজন বাড়তে থাকে এবং ঘুম স্বাভাবিক ভাবে হয়। কাশির সঙ্গে রক্ত।
মাথা — ভারী, মাথার দুটি রগে দপদপ করে, সর্দিজনিত বধিরতা ।
মুখগহ্বর – খাবার পর ও রাত্রিতে মুখ দিয়ে প্রচুর মিষ্ট স্বাদ যুক্ত লালাস্রাব। জিহ্বাতে বা গলায় চুল জড়িয়ে থাকার ন্যায় অনুভূতি।
পাকস্থলী – পেটুকের মত খিদে। জ্বালাকর ঢেকুর দৈনিক খাদ্য তালিকায় সামান্য পরিবর্তন করা হলে কষ্ট হয়। কোষ্ঠকাঠিণ্য, তৎসহ সারাক্ষন বৃহদন্ত্রে এক প্রকার অস্বস্তিকর মৃদু বেদনা। জিহ্বা ফ্যাকাশে, প্যাপিলা লালবর্ণ।
শ্বাস-প্রশ্বাস — সর্বদা শ্বাসনলী শ্লে,মার ঘড়ঘড়ানি। সকালে শোবার ঘর থেকে বেরবার পর কাশি শুরু হয়, তৎসহ শ্লেষ্মা উঠতে থাকে, শ্লেষ্মা চটচটে ও তুলে ফেলতে কষ্ট হয়। ঠাণ্ডা বাতাসে অনুভূতি প্রবন। বায়ুনলী প্রসারিত, তৎসহ দূর্গন্ধযুক্ত শ্লেষ্মা। বুকে তীরবিদ্ধ হবার ন্যায় বেদনা।
স্ত্রী-রোগ – স্তন ফোলা ও বেদনাদায়ক। যোনি পথে, স্তনে ও যোনিকপাটে, ঋতুস্রাব চলাকালীন অবস্থায় উদ্ভেদ দেখা দেয়।
সম্বন্ধ – এলিয়াম স্যাট, টেন্টির মতানুসারে এই ঔষধটি ব্রায়োনিয়া শ্রেনীভূক্ত, যে শ্রেনীর মধ্যে লাইকোপোডিয়াম, নাক্স, কালাসিন্থ, ডিজিট্যালিস এবং ইগ্নোশিয়াও পড়ে, এই ঔষধগুলি সকল মাংসাশী জন্তুর উপর ভালো কাজ করে এবং নিরামিষ ভোজীদের উপর প্রায় কোন কাজ করেই না। এই কারণে এই গুলির বিশেষ উপযোগিতা নিরামিষ ভোজীদের থেকে মাংসাশীদের উপর রোগ দেখা যায়।
তুলনীয় – ক্যাপসিকাম, আর্সেনিক, সেনেসা, কেলিনাইট।
দোষঘ্ন – লাইকোপোডিয়াম।
শক্তি – ৩য় থেকে ৬ষ্ঠ শক্তি। যক্ষ্মারোগের ক্ষেত্রে, ৪ থেকে ৫ গ্রাম পরিমান ঔষধ। কয়েকটি মাত্রায় ভাগ করে খাওয়া হবে।