Caul | শারীরিক দুর্বলতার সহিত আভ্যন্তরিক কাঁপুনি। |
Caul | ক্ষুদ্র সন্ধি ও মাংসপেশীতে বাত। |
Caul | জরায়ুর শিথিলতা, জরায়ুতে প্রসব বেদনার মত বা খিল ধরার মত ব্যথা। |
Caul | ছোট বালিকাদের সাদাস্রাব, সাদাস্রাবের কারণে সন্তান ধারণে অক্ষমতা। |
Caul | গলায় গাঢ় বাদামী চাকা চাকা দাগ। |
স্ত্রীলোকদের পক্ষে বিশেষভাবে উপযোগী, গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে ও স্তন্যদানকালে যে সব অসুখ হয় সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।
মেয়েদের, বিশেষতঃ ঘোট ঘোট হাড়-এর সন্ধিগুলোতে বাতরোগ (একটিয়া স্পাই); ব্যথা দৌড়ে বেড়ায়, অনবরত স্থান পরিবর্তন করে (পালস) আক্রান্ত সন্ধিগুলোর ব্যথা ও আড়ষ্টতা ।
ব্যথা সবিরাম (হয় আবার থামে), থেমে থেমে আসে ও খিচুনীমত হয় ।
যৌবন কাল শুরু হওয়ার সময়, মেয়েদের ঋতুস্রাব প্রারম্ভিক শুরুর সময় কোরিয়া (হাত-পা কাঁপা), হিষ্টিরিয়া ও মৃগীরোগ শুরু হয় (একটিয়ারেসি) ।
শ্বেতপ্রদর — হেজে যায়, দুর্বল করে, চোখের ওপর পাতা ভারী হয়—তা আঙুল দিয়ে তুলে ধরতে হয় (জেলস) কপালে মথ’ এর মত ছোট ছোট হলদে ছোপ পড়ে (সিপিয়া); ছোট-ছোট মেয়েদের শ্বেতপ্রদর (ক্যাল্কে-কা); প্রদর স্রাবে ভুগে গর্ভসঞ্চার হয় না।
জরায়ুর দুর্বলতায় গর্ভ নষ্ট হয় (এলেট্রিস্) এনিমিয়া সেই সাথে বিষন্নতা হেলোনি) ।
জরায়ু মুখ শক্ত, আক্ষেপবশতঃ প্রসব হতে দেরী হয়, সারভিক্স-এ (জরায়ুগ্রীবা) সূঁচ ফোটানো ব্যথা ।
প্রসববেদনা — অল্প সময় থাকে, অনিয়মিত, আক্ষেপজনক, ছিঁড়ে ফেলার মত ব্যথা। প্রসবের আগে মিথ্যা প্রসববেদনা (একটিয়া) প্রসব ক্রিয়ার কোন উন্নতি হয় না। লক্ষণ সদৃশ হলে এ ওষুধ বিশৃঙ্খল জীবনীশক্তিকে উজ্জীবিত করে ও সার্থক প্রসব বেদনার সৃষ্টি করে।
দ্রুত প্রসবের পর রক্তস্রাব, জরায়ু ও অন্য পেশীতে শক্তি আনে, গর্ভ নষ্টের পর প্যান্সিভ রক্তস্রাব (সিকেল, গ্লাপ্সি-বার্সা)।
ভ্যাদাল ব্যথা- দীর্ঘ সময় ধরে দুর্বলকারী প্রসববেদনার পর- ঐ ব্যথা আক্ষেপজনক, তলপেটে আড়াআড়িভাবে কুঁচকি অবধি যায় (ঐ ব্যথা সিন্বোন বা জঙ্ঘা অবধি গেলে কার্ব-ভে, কঙ্কুলাস)।
প্রসবের পর বহুদিন ধরে লোকিয়াস্রাব, জরায়ু খুব দুর্বল, শিথিল রক্তের শিরা হতে বহুদিন যাবৎ রক্ত চুইয়ে পড়ে (সিক্লেল) ।
সম্বন্ধ — এক্টিয়া, বেল, লিলিয়াম, পালস, সিকেল, গ্রপ্সি, ভাইবুর্নাম এ ওষুধের সদৃশ ।
প্রসব বেদনায় পালসের সমগুণ কিন্তু মানসিক লক্ষণে বিপরীত, মুখের উপর ছোপ ছোপ হলদে দাগ ও জরায়ুর বিশৃঙ্খলা হতে লক্ষণসমূহে সিপিয়া সদৃশ ।
শক্তি – ৬, ৩০, ২০০।
এটি একটি স্ত্রীলোকেদের ঔষধ। জরায়ু পেশী সমূহের শক্তি হীণতা। প্রসবকালে, যখন বেদনা সম্পূর্ণ ভাবে হয় না এবং যখন রোগীনী ক্লান্ত ও খিটখিটে হয়ে পড়ে। এইগুলির পাশাপাশি ঔষধটি ছোট-ছোট সন্ধির উপর বিশেষ আকর্ষণ আছে। মুখক্ষত বা থ্রাশ, বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ ভাবে প্রয়োগ করা যায়।
পাকস্থলী – পাকস্থলী হৃদপিন্ড স্থানেশূল বেদনা, পাকস্থলীর আক্ষেপিক। অজীর্ণ তৎসহ আক্ষেপিক লক্ষণাবলী।
স্ত্রীরোগ – জরায়ুর মুখটি অদ্ভুত রকমের শক্ত (বেলেডোনা, জেলস, ভিরেট্রাম ভিরিডি)। আক্ষেপিক এবং তীব্র বেদনা, যা শরীরের সর্বদিকে ঘুরে বেড়ায়; রোগীনি ঠক ঠক্ করে কাঁপে, অথচ প্রসব বিষয়ে কোন পরিবর্তন বা উন্নতি দেখা যায় না। ভুল প্রসব বেদনা। এই ঔষধ পুনরায় প্রসব বেদনা তোলে ও ক্রমশঃ প্রসব বেদনার উন্নতি ঘটে। যন্ত্রনার পরে। প্রদর স্রাব, তৎসহ কপালে ছোপ। জরায়ুর দূর্বলতার জন্যে প্রকৃতিগত ভাবে গর্ভপাত প্রবল। (হেলোনিয়াম; পালসেটিলা; স্যাবাভিলা)। জরায়ু গ্রীবায় সূঁচ ফোটার মত বেদনা। বাধক বেদনা, তৎসহ বেদনা শরীরের অন্যান্য অংশে ছুটে বেড়ায়। বাধাপ্রাপ্ত প্রসবান্তিক ভাব; জরায়ু পেশীর অত্যন্ত দুর্বলতা। মাসিক ধাতুস্রাব ও প্রদর পরিমানে প্রচুর হয়।
চামড়া – স্ত্রীলোকের চামড়ার বিকৃতি তৎসহ মাসিক ধাতুস্রাব ও জরায়ুর গোলযোগ।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ – মারাত্মক টেনে ধরার মত, ভ্রমণশীল, বেদনা ও আড়ষ্টতা বিশেষতঃ শরীরের ছোট সন্ধি সমূহ, হাত-পায়ের অঙ্গুল, গোড়ালি প্রভৃতি স্থানে দেখা যায়। কজির কনকনানি। হাতমুঠো করলে কেটে ফেলার মত বেদনা। ভ্রমণশীল বেদনা, কয়েক মিনিট পরে পরে যন্ত্রণার স্থান পরিবর্তন হয়।
সম্বন্ধ-পতিবন্ধক – কফিয়া।
তুলনীয় – ভাইয়োলা ওডর (কারপাল ও মেট্যাকারপাল সন্ধির বাত)। সিমিসি, সিপিয়া, পালসেটিলা; জেলস।
শক্তি – অরিষ্ট থেকে ৩য় শক্তি।
অপর নাম– ব্লু-কোহশ (Blue-Cohosh)
ব্লু জিনসিং (Blue Ginseng)
ক্রোয়া-রুট (Squaw-Root)
প্যাপোজ রুট (Pappoose Root)
(Caulophyllum – Kaluos, a stem; Phyllan a leaf, the stem of the plant plant resembling the stalk of a large leaf, or so called because the leaf stalk appear like a continuation of the stem. The word cohos is an Indian name, the meaning of which is not know. The word Blue refers to the colour of the pod. The word squaw refers to the main sphere of action, while the word Pappoose refers to a time when its action is exhibited beneficially.)
কলোফাইলাম -পরিক্রমা
কলোফইলাম বাবেরীডেসী জাতীয় উদ্ভিদ। বসন্তকালে এরকম মূল থেকে মূল অরিষ্ট তৈরী করা হয়। এর উপক্ষারের নাম কলোফাইলিন।
কলোফইলাম আর একটি মূল্যবান স্ত্রীলোকের ঔষধ, কারন জরায়ুতে এর বিশেষ ক্রিয়াদর্শে।
এর সম্পূর্ণ প্রুভিং হওয়া উচিত। এর গুন প্রকাশ করার জন্য নীচে একটি রোগিণীর বিবরণ দেওয়া হল।
রোগী বিবরণী–
চল্লিশ বছর বয়সের একজন বিবাহিতা মহিলাদীৰ্ঘকাল যাবৎ গ্রীবার আড়ষ্টতা রোগে ভুগছিলেন। তিনি সাত মাসের গর্ভবতীও ছিলেন। তার আঙ্গুলের সব গাঁটগুলি ফুলায় তিনি দারুন ভাবে যন্ত্রনায় আক্রান্ত। স্কেলমাত্র বাইরের পটী দিয়ে আঙ্গুলগুলি ঢেকে রাখলে তার ঐ নিদারুণ বেদনার উপশম হত এবং তিনি বিশ্রাম করতে বা ঘুমতে পারতেন। আমি ৩য় ক্রমশক্তি কলোফইলাম ব্যবস্থা করায়, তার আঙ্গুলের বেদনার উপশম হয় কিন্তু এরূপ তীব্র প্রসব বেদনা উপস্থিত হয় যে আমি অকাল প্রসবের ভয়ে ওষুধ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই। তারপর নিম্নমুখী চাপ দেওয়া বেদনা থেমে যায় ও আঙ্গুলের বেদনা ঘুরে আসে এবং পূর্ণ জোরে চলতে থাকে, বিশেষ করে যে পৰ্য্যন্ত না তিনি সন্তান প্রসব করেন। প্রসবের পর তিন দিন বেদনা ছিল না, কিন্তু প্রসবান্তিক লোকিয়া স্রাব আস্তে আস্তে না কমে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং জরায়ুর বক্তস্রাবের মত দাঁড়ায়।
এক্ষেত্রে স্রাবের প্রবাহ ছিল অপ্রবল বা প্যাসিভ, কালচে ও তরল। রোগিণীর অতিশয় দুর্বলতা আভ্যন্তরিক কম্পনের অনুভূতি ছিল এবং সর্বোপরি আঙ্গুলের ভীষন বেদনা আবার ফিরে এসেছিল। এক্ষেত্রে কলোফাইলাম নির্দেশিত হওয়া সত্বেও আমি উহা দিতে ভয় পেয়েছিলাম কারণ পূর্বে দেওয়ার ফলে নীচের দিকে চাপ দেওয়ার বেদনা দেখা দিয়েছিল। আর্নিকা, স্যাবাইনা, সিকেলিকর ও সালফার দেওয়ায় কোন উপকার হয় নি। শেষে আমি কলোফাইলাম উচ্চক্রম দিয়ে দেখাই স্থির করি। উহা ২০০ শক্তিতে দেওয়ায় সমগ্র রোগ স্থায়ীভাবে সেরে যায়।
মন্তব্য: ইহা একটি সম্পূর্ণভাবে কলোফাইলামের ক্ষেত্র ছিল এবং যদি আমি উপযুক্ত ভাবে প্রয়োগ করতে পারতাম, তাহলে রোগিণীকে অনাবশ্যক এত কষ্ট না দিয়ে রোগিণীকে আগেই ভাল করতে পারতাম।
গর্ভস্রাবের পর দীর্ঘকাল স্থায়ী অপ্রবল (passive) রক্তস্রাব। প্রকৃতিগত লক্ষণদুৰ্বলতা ও আভ্যন্তরিক কম্পন এই দুটি লক্ষণ বর্তমান থাকলে আমি এই ঔষধ ব্যবহার উপকার পেয়েছি। ইহা প্রায়ই অনিয়মিত আক্ষেপিক প্রসব বেদনা (iregular spasmodic labor pain) নিয়মিত করে এবং ঐ প্রকৃত বাধক বেদনায় উপশম করে।