Cancer পাতার পরের অংশ।
পাকস্থলী এমন একটি অঙ্গ যেখানে খাদ্য নালীর মাধ্যমে খাবার এসে জমা হয়। পাকস্থলীতে বিভিন্ন প্রকার রোগ হয়। তার মধ্যে আলসার বা টিউমার মারাত্মক ধরণের রোগ। এ রোগ যখন খুব ক্ষতিকর হয় না তখন তাকে বিনাইন আলসার বা টিউমার বলে, অপরদিকে আলসার বা টিউমার যখন বিপদজনক হয় এবং মৃত্যু পরোয়ানা ডেকে আনে তখন তাকে বলা হয় ম্যালিগন্যান্ট। এই ম্যালিগন্যান্ট আলসার বা টিউমার পাকস্থলী ক্যান্সারে রূপ নেয়। এক গবেষণায় দেখা গিয়াছে অ্যামেরিকাতে ক্যান্সারে মৃত্যু সংখ্যার ৫টির মধ্যে ২টি পাকস্থলীর ক্যান্সারে মৃত্যু। পাকস্থলী ক্যান্সারের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
সূচি
পাকস্থলী ক্যান্সার, Stomach Cancer
স্ত্রী-জননাঙ্গের ক্যান্সার, Female Genitalia Cancer
আক্রমণ স্থল
পাইলোরাস এবং ডিওডেনাম অঞ্চল পাকস্থলী ক্যান্সার আক্রমণের প্রধান স্থান। পাকস্থলীর মুখেও এ রোগ দেখা যায়।
পাকস্থলীর শেষ প্রান্তে ক্যান্সার হলে বেশী যন্ত্রণা হয়। পাকস্থলীর মধ্যবর্তী স্থানে ক্যান্সার হলে যন্ত্রণা কম হয়। পাইলোরাসের (Pylorus) ক্যান্সারে খাবার খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর বমি হয়, ২য় ঘণ্টা হতে বমি হয় না। পাকস্থলীর মুখের নিকট ক্যান্সার হলে খাবার খাওয়ার পর পর বমি হয়।
পাকস্থলীর ক্ষতের যন্ত্রণা ছুরি বেঁধানোর মত হয় এবং ক্যান্সারের যন্ত্রণা জ্বালাকর হয়। ইপিগ্যাস্ট্রিকে ফোলা, টক ঢেকুর, অ-ক্ষুধা এবং খাদ্য বমি ইত্যাদি দেখা দিলে, পাকস্থলীর ক্যান্সারে রোগী মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছে এরূপ বুঝতে হবে।
সফল রোগীর ভিডিও প্রমাণ
ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে
প্রাথমিক ভাবে পেটে অল্প অল্প ব্যথা ও ক্ষুধা কমতে থাকে।
ওজন কমা, শীর্ণতা, দ্রুত মাংস ক্ষয়, ডিসপেপসিয়া, ফ্যাকাসে বর্ণ, দুর্বল ও দ্রুত নাড়ীর গতি সতর্কতা সূচক লক্ষণ।
পরবর্তিতে আক্রান্ত স্থানে অত্যন্ত টাটানি ব্যথা, এমন কি পাকস্থলীতে হাত রাখা যায়না।
প্রথমে পানির ন্যায় বমি, পরে টক বমি, থুতুর ন্যায় বমি, দুর্গন্ধ যুক্ত বমি, দ্রুত রং পরিবর্তন হয়ে মাটির বর্ণ হয়।
পাকস্থলী ক্যান্সার রোগ যতই ছড়ায় ততই বমি, হেঁচকি, রক্তবমি, রক্ত পায়খানা, ব্যথা ইত্যাদি হতে থাকে।
পাকস্থলীর উপর হাত রাখলে ফোলা ভাব অনুভূত হয়, এটা নরম কিন্তু গোরার দিকে বেশ শক্ত বোধ হয়।
আহারের ২ঘন্টা পর জ্বালাকর ব্যথা এবং ব্যথা মেরুদণ্ডের দিকে ধাবিত হয়।
রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে সাধারণ পেটের অসুখের ঔষধ কোন কাজেই আসেনা।
পাকস্থলী ক্যান্সারে রোগ নির্ণয়
পাকস্থলী ক্যান্সারের রোগ-লক্ষণগুলি এতই সাধারণ যে, খুব সহজে বুঝে উঠা কষ্টকর হয়। এর ফলে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে পাকস্থলী ক্যান্সার অনেক দূর অগ্রসর হওয়ার পর ধরা পড়ে। মাঝে মাঝে এমন হয় যে, চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকেনা, সাধারণত দেখা যায় যে পঞ্চাশ বছরের পূর্বে পাকস্থলী ক্যান্সার কম হয়। তবুও পেটের গণ্ডগোল স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু বেশী দিন স্থায়ী হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো উচিত।
পাকস্থলী ক্যান্সার নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা:
এন্ডোসকপিঃ প্রাথমিক ভাবে পাকস্থলীতে ক্যান্সার হয়েছে কিনা তা এন্ডোসকপি করে জানা যায়। এন্ডোসকপি হলো একটি নলের মত যন্ত্র বিশেষ যা গলা দিয়ে পেটের ভিতরে ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
বায়োপসিঃ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন অংশ, কিছুটা কেটে পরীক্ষা করাকে বায়োপসি বলে।
বেরিয়াম মিল এক্স-রেঃ এ পরীক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি স্পষ্ট হয়ে উঠে।
আলট্রাসনোগ্রাফীঃ করেও পাকস্থলী ক্যান্সার রোগের পরিমাণ নিরূপণ করা যায়।
সিটি স্ক্যানেরঃ মাধ্যমেও পাকস্থলীর রোগ নির্ণয় করা যায়।
পাকস্থলী ক্যান্সারের চিকিৎসা:
আধুনিক হোমিওপ্যাথিতে ক্যান্সার চিকিৎসা করে আরোগ্য করা সম্ভব। বিজ্ঞ ডাক্তার নিম্নোক্ত নিয়ম মেনে পাকস্থলী ক্যান্সারের চিকিৎসা করলে রোগী আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা আছে । যেমন:
১. রোগীর সঠিক রোগ নির্ণয় করতে হবে।
২. রোগীর রোগ লক্ষণ।
৩. মানুষিক লক্ষণ।
৪. সার্ব-দৈহিক লক্ষণ।
৫. খাদ্যে ইচ্ছা অনিচ্ছা সম্পর্কিত লক্ষণ।
৬. প্রস্রাব-পায়খানা সম্পর্কিত লক্ষণ।
৭. ঘর্ম সম্পর্কিত লক্ষণ।
৮. আবহাওয়া সম্পর্কিত লক্ষণ।
৯. কাতরতা সম্পর্কিত লক্ষণ।
১০. নিদ্রা ও স্বপ্ন-দেখা সম্পর্কিত লক্ষণ।
১১. জননেন্দ্রিয় সম্পর্কিত লক্ষণ, ইত্যাদি সহ সকল লক্ষণ পূর্ণা-ঙ্গ রূপে গ্রহণ করতে হবে এবং গ্রহণ করা লক্ষণ গুলো থেকে সর্বাধিক লক্ষণ সারাতে পারে এমন ঔষধের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
১২. রোগীর অতীত রোগ ও বংশগত রোগ বিবেচনায় নিতে হবে।
১৩. রোগীর মায়াজমেটিক স্টেট সমূহ নির্ধারণ করতে হবে, এবং বর্তমানে কোন মায়া-জম প্রাধান্য তা বিবেচনায় নিতে হবে ।
১৪. উপরে উল্লিখিত সকল বিষয় মনোযোগ সহ বিশ্লেষণ করে একটি মাত্র ঔষধ নির্বাচন করতে হবে ।
১৫. এরপর ঔষধ প্রয়োগ বিধি মত রোগীকে ঔষধ দিতে হবে । দ্বিতীয় নির্বাচন সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।
পাকস্থলীর ক্যান্সারের কতিপয় রোগ লক্ষণ
উপরে উল্লেখিত “পাকস্থলী ক্যান্সারের চিকিৎসা” শিরনামের ২ নাম্বারে উল্লেখিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় “রোগীর রোগ লক্ষণ” নিম্নে দেয়া হল। যারা উল্লেখিত ১৫ টি বিষয় সমন্বয় করে চিকিৎসা করার যুগ্যতা রাখেননা, তাদের চিকিৎসায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাই নিম্নে উল্লেখিত প্রায় লক্ষণ সমূহের সাথে ঔষধের নাম দেয়া হয়নি।
পাকস্থলী ক্যান্সারের চিকিৎসা এর জন্য – হোমিওপ্যাথিতে (৩৮) টি ঔষধ রয়েছে এবং তা থেকে ১ টি প্রয়োগ হতে পারে। যেমন – 2 acet-ac, 1 am-m, 1 arg-n, 3 ARS, 2 ars-i, 1 bar-c, 1 bell, 3 BISM, 3 CADM-S, 1 calc-f, 2 caps, 3 CARB-AC, 3 CARB-AN, 2 carb-v, 3 CON, 2 crot-h, 3 CUND, 1 form-ac, 1 graph, 3 HYDR, 2 iris, 1 kali-bi, 1 kali-c, 2 kreos, 2 lach, 3 LYC, 1 mag-p, 2 merc-c, 2 mez, 1 nux-v, 3 PHOS, 1 plat, 1 plb, 1 sec, 2 sep, 2 sil, 2 staph, 2 sulph
পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়ে হিক্কা হলে হোমিওপ্যাথিতে (১) টি ঔষধ রয়েছে এবং তা থেকে ১ টি প্রয়োগ হতে পারে।
পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়ে বমি হলে – (6) টি ঔষধ
অনুরূপ ভাবে
পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়ে রক্ত বমি – (1)
পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার কারণে খাবার খেতে পারেনা – (1)
এলমোনিয়াম বিষাক্ততার কারণে পাকস্থলীর ক্যান্সার (1)
পাইলোরাস ক্যান্সার – (6)
ক্যান্সার হওয়ার কারণে পাকস্থলীতে ব্যথা – (1)
পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার কারণে কফির মত বমি – (1)
রক্ত বমি করা – (106) 1 acet-ac, 2 acon, 1 agar, 1 aeth, 1 aloe, 1 alum, 1 alumn, 2 am-c, 1 anan, 1 ant-c, 1 ant-t, 1 arg-n, 3 ARN, 2 ars, 1 ars-h, 1 aur-m, 1 bar-m, 1 bell, 1 brom, 2 bry, 1 bufo, 3 CACT, 2 calc, 1 calc-s, 1 camph, 1 cann-s, 2 canth, 1 carb-ac, 1 carbn-s, 3 CARB-V, 1 card-m, 2 caust, 1 cham, 3 CHIN, 2 chin-ar, 2 cic, 1 colch, 1 coloc, 1 con, 3 CROT-H, 2 cupr, 2 cycl, 1 dig, 1 dros, 2 erig, 3 FERR, 2 ferr-ar, 1 ferr-i, 2 ferr-p, 1 guai, 3 HAM, 1 hep, 2 hyos, 1 ign, 1 iod, 3 IP, 1 kali-bi, 1 kali-chl, 1 kali-i, 1 kali-n, 1 kali-p, 2 kreos, 2 lach, 1 led, 1 lob, 1 lyc, 1 merc, 2 merc-c, 1 mez, 2 mill, 2 nat-ar, 1 nat-m, 1 nat-s, 2 nit-ac, 2 nux-v, 1 olnd, 1 op, 1 ox-ac, 2 petr, 3 PHOS, 2 phyt, 2 plb, 2 podo, 2 puls, 1 pyrog, 1 rat, 1 rhus-t, 1 ruta, 3 SABIN, 1 samb, 2 sang, 2 sec, 2 sep, 2 sil, 2 stann, 1 stram, 2 sulph, 1 sul-ac, 1 tab, 2 ter, 1 uran, 1 ust, 2 verat, 2 verat-v, 1 vip, 2 zinc
কালো রঙের রক্ত বমি – (2)
নীল রঙের রক্ত বমি – (1)
পানি পান করার পরে রক্ত বমি – (1)
খাবার খাওয়ার পরে রক্ত বমি – (1)
পরিশ্রম করার পরে রক্ত বমি – (1)
রক্ত বমি করা শুয়ে থাকলে বৃদ্ধি – (1)
রক্ত বমি করে চিত হয়ে শুলে – (1)
নড়াচড়া করলে রক্ত বমি হয় (1)
এভাবে প্রয়োজনীয় সকল লক্ষণ যেনে রোগীকে চিকিৎসা দিতে হবে।
পাকস্থলী ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়ঃ
রোগ নিরাময়ের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ উত্তম। পাকস্থলী ক্যান্সার কি কারণে হয় চিকিৎসা বিজ্ঞান তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেনি। তবে এ রোগ হতে মুক্ত থাকার জন্য চিকিৎসকরা কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেমন-
সামুদ্রিক মাছ, শুকনো ও লবণ মেশানো মাছ, বেশী তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপুড়ি খাবার, বাসি পচা খাবার, অধিক পরিমাণে আহার, অনিয়মিত আহার, অধিক চা পান, ধূমপান ও জর্দা তামাক মদ সুপারি প্রভৃতি পরিহার করার মাধ্যমে পাকস্থলী ক্যান্সার হতে মুক্তি পাওয়া অনেকাংশে সম্ভব।
Stomach Ulcer, gastric ulcer, pylorus, pyloric Cancer Bangladesh, bd cancer, Cancer Treatment Bangladesh.